সেজন্যে, অপেক্ষা করার আসলে একটা লিমিট থাকা উচিৎ
১. আশা খুব ভয়ংকর জিনিস। এতোটাই ভয়ংকর যে, আশার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা আছে। সেজন্যে, আশা করতে হয় সতর্কভাবে। এবং আশা করার সময়ে চিন্তা করে করে বের করে নেয়া উচিৎ যে, কতোটুকু পর্যন্ত আশা করলে সেটা আমাকে ধ্বংস করে দিবে না। (এটা চিন্তা করে বলতেসি যে, একজন মানুষের ধ্বংস হওয়ার ইচ্ছা নাই। নিজে থেকে ধ্বংস হয়ে যেতে চাইলে সেটা আলাদা ব্যাপার। সেটা নিয়ে এই আর্গুমেন্টে কাজ হবে না।)
পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে, যে জিনিস আমি পাবো না বলে মনে হচ্ছে, সেটার পিছনে আমি আসলে কতোদিন পর্যন্ত সময় ব্যয় করবো, আর করলে আমার কাছে মনে হবে যে, আমি "যথেষ্ট" পরিমাণ সময় ব্যয় করসি। মানুষের জীবন যেহেতু অ্যাভারেজে ৫০-৬০ বছরের, তাই যথেষ্ট পরিমাণ সময় জিনিসটা বের করতে খুব বেগ পাইতে হবে না।
২. "নেক্সট টাইম" নামে একটা বিষয় থাকবে - এই নিশ্চয়তা আমাদেরকে অনেক কিছু মিস করে ফেলতে দেয়। আমরা নিজেদেরকে অনুমতি দিয়ে দেই যে, আচ্ছা, আচ্ছা, এখন/এইবার না করলে তো কিছু হবে না, পরেরবার নামে আরেকটা বার তো আসবেই। কাজেই তখন করবো। তখন পুষিয়ে দিবো। সমস্যা তো নাই।
আসলে, সমস্যা আছে। একটা সেয়িং আছে, দ্য প্রবলেম ইজ, ইউ থিংক ইউ হ্যাভ টাইম।
"সেই পছন্দের মানুষদের খারাপ সময়ে, কোন কারণে পাশে না থাকতে পারলে নিজের উপর প্রচন্ড করুণা হয়। কোন কিছু করতে পারিনি, এই ভাবনাটা মাথায় যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।" হুম, করে তো। তো? এই করুণা এবং যন্ত্রণা কিন্তু আমাদেরকে নেক্সট টাইমটা দিবে না। ফলে একটা রিয়েল পসিবিলিটি আছে যে, সারাটা জীবন এই কষ্ট নিয়ে ভুগতে হইতে পারে।
সেটা এমন কোন ঘটনার ক্ষেত্রে হইতে পারে, যে ঘটনাগুলি ইরিভার্সিবল।
আই হ্যাভ বিন দেয়ার - দিস ফাকিং "নেক্সট টাইম" লুপ। আই নো।
৩. কোন কিছু করার বেস্ট টাইম আসলে এখন। আমি অনেক কঠিনভাবে এই শিক্ষা পাইসি যে, যে জিনিসের জন্যে অনেক অনেক লম্বা সময় নিজের ক্ষতি করে অপেক্ষা করতে হয়, ইটস নট ওর্থ ইট। আমি লিখসি, নিজের ক্ষতি করে। এমন যদি হয় যে, আমি দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা দিয়ে এগুচ্ছি, ফলে আমি আসলে আমার সময় নষ্ট করতেসি না, বরং একটা পছন্দের জিনিসের পেছনে ইনভেস্ট করতেসি, তাহলে সেটাকে নিজের ক্ষতি করা বলে না। নিজের ক্ষতি করা বলে সেটার পেছনে একটা লম্বা সময় দেয়া, যেটা নিয়ে আমি নিশ্চিতভাবেই এটা জানি যে, এই জিনিসটা থেকে আমি যে আউটকাম আশা করতেসি, সেটা আসবে না। আমি যখন জানিই যে, পসিবল সব উপায়ে চেষ্টা করার পরেও অতীতে এই জিনিসটা থেকে আউটকাম আসে নাই, তাহলে আমি ভবিষ্যতে আসবে, সেটা নতুন কী ফ্যাক্টরের উপরে ভিত্তি করে চিন্তা করতেসি? নতুন কোন ফ্যাক্টর থাকলে, আর উপরে ভিত্তি করে একটা পরিস্থিতিতে রিইভালুয়েট করাটা ওকে। কিন্তু সেইম ওল্ড সিচুয়েশন থেকে, সেইম ওল্ড প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে নতুন আউটকাম আশা করাটা মানুষের মন চাইলেও, বাস্তবে, সেটা থেকে নতুন কোন ফলাফল যে আসবে না, সেটা "প্রায়" নিশ্চিতভাবে বলে দেয়া যায়।
ইনস্যানিটি ইজ ডুয়িং দ্য সেইম থিং অ্যাগেইন অ্যান্ড অ্যাগেইন হোপিং টু গেট এ ডিফরেন্ট রেজাল্ট।
এটা শুনতে তিতা মনে হলেও, দেয়ার ইজ অ্যা রিজন ইট বিকেইম অ্যা সেয়িং। টু মেনি পিপল অয়েন্ট থ্রু দিজ টাইপ অফ শিট অ্যান্ড অ্যাট দ্য এন্ড অফ ইট, দে কেইম টু আন্ডারস্ট্যান্ড দিস। সুতরাং এইটা শত বছরের মানুষের জীবনের ঘটনা দিয়ে পরীক্ষিত। আমি বলতেসি না যে, ইউনিক কিছু হইতে পারবে না। হইতে অবশ্যই পারে। কিন্তু, অ্যাট হোয়াট কস্ট ডু ইউ ওয়ান্ট টু ট্রাই দ্যাট আউট?
সেজন্যে, অপেক্ষা করার আসলে একটা লিমিট থাকা উচিৎ। এবং তারপরে কুইট করা উচিৎ। মানুষের জীবন এক হাজার বছরের হইলে এই কথাটা প্রযোজ্য হইতো না। কিন্তু মানুষের জীবন অতোটা লম্বা না।
৪.এখন পর্যন্ত নিজেকে মানুষ বলে মনে হয় তাই গালাগালি কিংবা অসদাচরণ করতে পারি না।
৪.এখন পর্যন্ত নিজেকে মানুষ বলে মনে হয় তাই গালাগালি কিংবা অসদাচরণ করতে পারি না।
#পিনিয়ন_ফরেভার
Comments
Post a Comment
Write your constructive opinion. -_-